রজনীগন্ধা ফুল
Fri May 21, 2021 5:05 pm
ফেইসবুকে লিখছি মাত্র ছয় বছর হলো । এখনো হাঁটি হাঁটি পা , টলি টলি গা । চল্লিশ বছর আগে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলাম , থাকি জার্মানির এক অজপাড়া গাঁয়ে তাই বাংলা ভাষার চর্চা আর তেমন একটা করা হয়ে উঠেনি ।
মাঝে মাঝে জার্মান পত্রিকায় মোটিভেশনের উপর লিখে হাততালি পাই । মন পড়ে থাকে কিন্তু বাংলাদেশে কাদামাটির সোঁদা গন্ধে, কলমি লতা আর বেতফুলের নিবিড় আলিঙ্গনে।
ফেইসবুকে আমার লেখাগুলোতে যত লাইক পাই, তার চেয়ে বেশি কড়া নাড়ে আমার ম্যাসেঞ্জারে।
আমার ফেইসবুকের বন্ধু-বান্ধবীরা তাদের মানসিক যাতনা আমার কাছে প্রকাশ করেন উপশমের আশায়, আর আমিও চেষ্টা করি মনোবিজ্ঞানে আমার এতদিনকার অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের ক্ষততে প্রলেপ দিতে।
সেদিন ঢাকায় রাত তিনটার দিকে হঠাৎ একটি ম্যাসেজ পেলাম এক অচেনা ভদ্রমহিলার কাছ থেকে , “আপনার কি পাঁচ মিনিট সময় হবে কথা বলার জন্য “? ঘড়ি দেখে অবাক হলাম ।
মনে মনে বললাম বাংলাদেশে কি রাতে কেউ ঘুমায় না !!!
যা হোক উনার আইডি তে গিয়ে দেখলাম উনি কে। একটু বয়স্কা ভদ্রমহিলা । উনি যখন যুবতী ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দরী ছিলেন দেখেই বোঝা যায়। ভদ্রতার খাতিরে বললাম , “বলুন“।
উনি লিখলেন:-
-আচ্ছা, আপনি আপনার একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন কাউকে ভুলে যেতে চাইলে বিকল্প বের করতে হয়, তাহলেই তাকে ভুলা যায়। কিন্তু কই , আমি তো ভুলতে পারছিনা আমার প্রথম ভালোবাসাকে।
আমি আমার সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি কিন্তু নিজের একান্ত সময়টুকুতে তাকে মনে পড়ে ভীষণ।
আমি লিখলাম :
- আপনি একটু খোলাসা করে বলুন না যাতে আমি বুঝতে পারি। -
-জানেন, আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম রসায়ন বিভাগে। কার্জন হলে ওর সাথে দেখা হতো। ও ছিল পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র, অপশনাল ছিল ওর রসায়ন। তাই রসায়ন ক্লাস করতে এলেই ওকে দেখতাম। ওকে দেখার জন্য সবসময় পিছনের বেঞ্চ বেছে নিতাম আমি। খুব ঘন কালো চুল ছিল ছেলেটির। খুব ভালো লাগত আমার ওকে । তারপর কেন জানি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম।
আমি বললাম,
- আপনি কি তাকে জানিয়েছিলেন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন ?
-না, কীভাবে জানাবো বলুন ? ওর সাথে আমার কখনো কথা পর্যন্ত হয়নি। আর সে সময় তো মেয়েদের ভালো লাগার কথা নিজে জানাবার চল ছিল না, তাই না? তাছাড়া এখনকার মতো তো আর স্মার্টফোন ছিল না, ফেইসবুকও ছিল না।
- কোন সালের ঘটনা এটা ? আমি জিজ্ঞেস করলাম। উনি সালটি বললেন।
আমি চিন্তা করে দেখলাম, ঐ সময়তো আমিও ছিলাম কার্জন হলে।
কই, কোনো উত্তম কুমারের মতো ঘন কালো চুলের সুদর্শন কাউকে তো মনে পড়ছে না ।
বললাম ,- আপনি কি আকারে ইঙ্গিতেও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেননি যে আপনি তাকে ভালোবাসেন ?
-করেছিলাম কয়েকবার কিন্তু সে খুব একটা পিছন ফিরে তাকাতো না। তাই একবার সাহস করে ফাইনাল পরীক্ষার আগে তার পাশেও বসেছিলাম, কিছু বলতেও চেয়েছিলাম কিন্তু......।
- কিন্তু কি ?
- সে সারাটি ক্লাস মুখে বই গুঁজে বসে ছিল। আমি আজো জানি না সে আমাকে খেয়াল পর্যন্ত করেছিলো কিনা!
আমি মনে মনে বললাম নিশ্চয়ই কোনো গর্দভ ছেলে , সারাদিন বই মুখস্ত করতো। এত সুন্দরী একটি মেয়ে তাকে ভালোবাসতো , অথচ অপদার্থটি কিছুই বুঝলোও না, আবার পদার্থ বিজ্ঞানে পড়ত ? গাধা একটা !!!!!!
এরপর বললাম : -আচ্ছা , তারপর কি হলো ?
– ইতোমধ্যে আমাদের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
এরপর খুব সাহস করে একটি চিঠি লিখেছিলাম তাকে উদ্দেশ্য করে। তাকে প্রথম দেখার ক্ষণটি থেকে শুরু করে আমার প্রতি তার অজ্ঞতা, সেই কারণে আমার মান-অভিমান সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ করেছিলাম ঐ চিঠিতে। খুব সুন্দর একটি দিনও ঠিক করেছিলাম সেটি দেবার জন্য। সাথে ছিল বিশেষ একটি জিনিস।
আমি জিজ্ঞেস করলাম , কী ?
– শুকনো কিছু রজনীগন্ধা। অনার্সে প্রথম বর্ষে তারা যখন প্রথম আমাদের ক্লাসে এসেছিল, পদার্থ বিজ্ঞানের সকল শিক্ষার্থীদেরকে রজনীগন্ধা উপহার দেয়া হয়েছিল। ক্লাস শেষে দেখলাম সে তার ফুলটি রেখে গিয়েছে ।
আমি চার বছর ধরে সেগুলো আগলে রেখেছি। সেই ফুল গুলোই চিঠির সাথে দিয়েছিলাম।
- কোন দিনটি বেছে নিয়েছিলেন?
– আমাদের মাস্টার্সের প্রথম ক্লাসের দিনটি।
- তো চিঠি পেয়ে সে কি বলেছিলো ?
- তার বলার কোনো অবসর মেলেনি ।
- কেন ?
- শুনলাম ও নাকি বিদেশে চলে গেছে।
-তারপর ?
- তারপর আর কি ? আমার বিয়ে হয়ে গেল আব্বার বন্ধুর ছেলের সাথে। তাকে নিয়ে ঘর করছি। দুই মেয়ে।
এত বছর হয়ে গেল, তবুও জানেন কি মনে হয় আমার, যদি তার ঐ ঘন কালো চুলে একবার হাত বুলাতে পারতাম, শুধু একবার তাকে জিজ্ঞেস করতাম , আমাকে কি কখনো তোমার ঐ দুচোখ দিয়ে দেখেছিলে ভালো করে ?
আমি ভদ্রমহিলাকে কি বলব বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।
বললাম:-
- এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। ফেইসবুক , টুইটার, ইন্সটাগ্রাম আরো কত কি আছে ! ভদ্রলোক নিশ্চয়ই কোথাও আছেন। আপনার কাছে কি কোনো ছবি আছে তার ?
আমার ফেইসবুক পেইজে আমার প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। উনার ছবি পোস্ট করলে কেউ না কেউ নিশ্চয়ই চিনতে পারবে।
-জানেন, ও বিটিভি তে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতো। আমি অনেক কষ্টে ঐ সময় ক্যামেরা জোগাড় করে টিভি স্ক্রিন থেকে ওর ছবি তুলে রেখে ছিলাম আমার ছোট ভাইকে দিয়ে।
আমার কাছে ঐ চিঠিটি আর নেই কিন্তু ছবিটি আছে। আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি, তবে অনেক পুরানো ছবি আর মুখটিও তেমন ভালো দেখা যায় না ।
আমি অবাক হয়ে ভাবলাম, কেউ কাউকে না পেয়েও এতোগুলো বছর ভালোবেসে পার করে দিতে পারে ?
কয়েক মিনিট পরে ছবি চলে এলো। ছবি দেখে আমার চোখের পলক পড়ছে না।
কোনোভাবে ভদ্রমহিলাকে ধন্যবাদ আর শুভরাত্রি জানিয়ে ফেইসবুক থেকে বেরিয়ে এলাম
আমার পুরানো ফটো অ্যালবামটি খুললাম। পেয়ে গেলাম পুরোনো দিনের কিছু ছবি।
আমি যখন বিটিভি তে একটি অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছিলাম সেই সময়ে তোলা।
ছবিটির পিছনে প্রযোজকের মন্তব্য , ক্যামেরা চালু হয়ে গেলে কখনো হাত দিয়ে টাই নাড়াচাড়া করতে হয়না, খুবই দৃষ্টিকটু , বুঝলে পদার্থবিদ ?
রাত গভীর হলো। আমি জানালা খুলে দিলাম, বাইরে শীতের শুভ্র তুষার নেমে আসছে ধরণীতে । গানের সুরে সুরে শুভ্র তুষার গুলোকে মনে হলো অজস্র রজনীগন্ধা ।
ইউটিউবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান বাজতে থাকলো……
এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে দিয়ে বললাম, চললাম।।
বেশ কিছু সময় তো থাকলাম্, ডাকলাম, মন রাখলাম
দেখলাম দু’টি চোখে বৃষ্টি, বৃষ্টি ভেজা দৃষ্টি
মনে কর আমি এক মৃত কোনো জোনাকী
সারারাত আলো দিয়ে জ্বললাম।।
এখানেই সব কিছু শেষ নয় বেশ নয় যদি মনে হয়
লিখে নিও গল্পের শেষটা, থাক্ না তবু রেশটা
দেখো না গো চেয়ে তুমি আনমনা চরণে
কোন্ ফুল ভুল করে দললাম।।
Collected
মাঝে মাঝে জার্মান পত্রিকায় মোটিভেশনের উপর লিখে হাততালি পাই । মন পড়ে থাকে কিন্তু বাংলাদেশে কাদামাটির সোঁদা গন্ধে, কলমি লতা আর বেতফুলের নিবিড় আলিঙ্গনে।
ফেইসবুকে আমার লেখাগুলোতে যত লাইক পাই, তার চেয়ে বেশি কড়া নাড়ে আমার ম্যাসেঞ্জারে।
আমার ফেইসবুকের বন্ধু-বান্ধবীরা তাদের মানসিক যাতনা আমার কাছে প্রকাশ করেন উপশমের আশায়, আর আমিও চেষ্টা করি মনোবিজ্ঞানে আমার এতদিনকার অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের ক্ষততে প্রলেপ দিতে।
সেদিন ঢাকায় রাত তিনটার দিকে হঠাৎ একটি ম্যাসেজ পেলাম এক অচেনা ভদ্রমহিলার কাছ থেকে , “আপনার কি পাঁচ মিনিট সময় হবে কথা বলার জন্য “? ঘড়ি দেখে অবাক হলাম ।
মনে মনে বললাম বাংলাদেশে কি রাতে কেউ ঘুমায় না !!!
যা হোক উনার আইডি তে গিয়ে দেখলাম উনি কে। একটু বয়স্কা ভদ্রমহিলা । উনি যখন যুবতী ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দরী ছিলেন দেখেই বোঝা যায়। ভদ্রতার খাতিরে বললাম , “বলুন“।
উনি লিখলেন:-
-আচ্ছা, আপনি আপনার একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন কাউকে ভুলে যেতে চাইলে বিকল্প বের করতে হয়, তাহলেই তাকে ভুলা যায়। কিন্তু কই , আমি তো ভুলতে পারছিনা আমার প্রথম ভালোবাসাকে।
আমি আমার সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি কিন্তু নিজের একান্ত সময়টুকুতে তাকে মনে পড়ে ভীষণ।
আমি লিখলাম :
- আপনি একটু খোলাসা করে বলুন না যাতে আমি বুঝতে পারি। -
-জানেন, আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম রসায়ন বিভাগে। কার্জন হলে ওর সাথে দেখা হতো। ও ছিল পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র, অপশনাল ছিল ওর রসায়ন। তাই রসায়ন ক্লাস করতে এলেই ওকে দেখতাম। ওকে দেখার জন্য সবসময় পিছনের বেঞ্চ বেছে নিতাম আমি। খুব ঘন কালো চুল ছিল ছেলেটির। খুব ভালো লাগত আমার ওকে । তারপর কেন জানি ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম।
আমি বললাম,
- আপনি কি তাকে জানিয়েছিলেন যে আপনি তাকে ভালোবাসেন ?
-না, কীভাবে জানাবো বলুন ? ওর সাথে আমার কখনো কথা পর্যন্ত হয়নি। আর সে সময় তো মেয়েদের ভালো লাগার কথা নিজে জানাবার চল ছিল না, তাই না? তাছাড়া এখনকার মতো তো আর স্মার্টফোন ছিল না, ফেইসবুকও ছিল না।
- কোন সালের ঘটনা এটা ? আমি জিজ্ঞেস করলাম। উনি সালটি বললেন।
আমি চিন্তা করে দেখলাম, ঐ সময়তো আমিও ছিলাম কার্জন হলে।
কই, কোনো উত্তম কুমারের মতো ঘন কালো চুলের সুদর্শন কাউকে তো মনে পড়ছে না ।
বললাম ,- আপনি কি আকারে ইঙ্গিতেও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেননি যে আপনি তাকে ভালোবাসেন ?
-করেছিলাম কয়েকবার কিন্তু সে খুব একটা পিছন ফিরে তাকাতো না। তাই একবার সাহস করে ফাইনাল পরীক্ষার আগে তার পাশেও বসেছিলাম, কিছু বলতেও চেয়েছিলাম কিন্তু......।
- কিন্তু কি ?
- সে সারাটি ক্লাস মুখে বই গুঁজে বসে ছিল। আমি আজো জানি না সে আমাকে খেয়াল পর্যন্ত করেছিলো কিনা!
আমি মনে মনে বললাম নিশ্চয়ই কোনো গর্দভ ছেলে , সারাদিন বই মুখস্ত করতো। এত সুন্দরী একটি মেয়ে তাকে ভালোবাসতো , অথচ অপদার্থটি কিছুই বুঝলোও না, আবার পদার্থ বিজ্ঞানে পড়ত ? গাধা একটা !!!!!!
এরপর বললাম : -আচ্ছা , তারপর কি হলো ?
– ইতোমধ্যে আমাদের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
এরপর খুব সাহস করে একটি চিঠি লিখেছিলাম তাকে উদ্দেশ্য করে। তাকে প্রথম দেখার ক্ষণটি থেকে শুরু করে আমার প্রতি তার অজ্ঞতা, সেই কারণে আমার মান-অভিমান সমস্ত কিছু লিপিবদ্ধ করেছিলাম ঐ চিঠিতে। খুব সুন্দর একটি দিনও ঠিক করেছিলাম সেটি দেবার জন্য। সাথে ছিল বিশেষ একটি জিনিস।
আমি জিজ্ঞেস করলাম , কী ?
– শুকনো কিছু রজনীগন্ধা। অনার্সে প্রথম বর্ষে তারা যখন প্রথম আমাদের ক্লাসে এসেছিল, পদার্থ বিজ্ঞানের সকল শিক্ষার্থীদেরকে রজনীগন্ধা উপহার দেয়া হয়েছিল। ক্লাস শেষে দেখলাম সে তার ফুলটি রেখে গিয়েছে ।
আমি চার বছর ধরে সেগুলো আগলে রেখেছি। সেই ফুল গুলোই চিঠির সাথে দিয়েছিলাম।
- কোন দিনটি বেছে নিয়েছিলেন?
– আমাদের মাস্টার্সের প্রথম ক্লাসের দিনটি।
- তো চিঠি পেয়ে সে কি বলেছিলো ?
- তার বলার কোনো অবসর মেলেনি ।
- কেন ?
- শুনলাম ও নাকি বিদেশে চলে গেছে।
-তারপর ?
- তারপর আর কি ? আমার বিয়ে হয়ে গেল আব্বার বন্ধুর ছেলের সাথে। তাকে নিয়ে ঘর করছি। দুই মেয়ে।
এত বছর হয়ে গেল, তবুও জানেন কি মনে হয় আমার, যদি তার ঐ ঘন কালো চুলে একবার হাত বুলাতে পারতাম, শুধু একবার তাকে জিজ্ঞেস করতাম , আমাকে কি কখনো তোমার ঐ দুচোখ দিয়ে দেখেছিলে ভালো করে ?
আমি ভদ্রমহিলাকে কি বলব বুঝে উঠতে পারছিলাম না ।
বললাম:-
- এখন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। ফেইসবুক , টুইটার, ইন্সটাগ্রাম আরো কত কি আছে ! ভদ্রলোক নিশ্চয়ই কোথাও আছেন। আপনার কাছে কি কোনো ছবি আছে তার ?
আমার ফেইসবুক পেইজে আমার প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। উনার ছবি পোস্ট করলে কেউ না কেউ নিশ্চয়ই চিনতে পারবে।
-জানেন, ও বিটিভি তে মাঝে মাঝে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতো। আমি অনেক কষ্টে ঐ সময় ক্যামেরা জোগাড় করে টিভি স্ক্রিন থেকে ওর ছবি তুলে রেখে ছিলাম আমার ছোট ভাইকে দিয়ে।
আমার কাছে ঐ চিঠিটি আর নেই কিন্তু ছবিটি আছে। আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি, তবে অনেক পুরানো ছবি আর মুখটিও তেমন ভালো দেখা যায় না ।
আমি অবাক হয়ে ভাবলাম, কেউ কাউকে না পেয়েও এতোগুলো বছর ভালোবেসে পার করে দিতে পারে ?
কয়েক মিনিট পরে ছবি চলে এলো। ছবি দেখে আমার চোখের পলক পড়ছে না।
কোনোভাবে ভদ্রমহিলাকে ধন্যবাদ আর শুভরাত্রি জানিয়ে ফেইসবুক থেকে বেরিয়ে এলাম
আমার পুরানো ফটো অ্যালবামটি খুললাম। পেয়ে গেলাম পুরোনো দিনের কিছু ছবি।
আমি যখন বিটিভি তে একটি অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিচ্ছিলাম সেই সময়ে তোলা।
ছবিটির পিছনে প্রযোজকের মন্তব্য , ক্যামেরা চালু হয়ে গেলে কখনো হাত দিয়ে টাই নাড়াচাড়া করতে হয়না, খুবই দৃষ্টিকটু , বুঝলে পদার্থবিদ ?
রাত গভীর হলো। আমি জানালা খুলে দিলাম, বাইরে শীতের শুভ্র তুষার নেমে আসছে ধরণীতে । গানের সুরে সুরে শুভ্র তুষার গুলোকে মনে হলো অজস্র রজনীগন্ধা ।
ইউটিউবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান বাজতে থাকলো……
এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে দিয়ে বললাম, চললাম।।
বেশ কিছু সময় তো থাকলাম্, ডাকলাম, মন রাখলাম
দেখলাম দু’টি চোখে বৃষ্টি, বৃষ্টি ভেজা দৃষ্টি
মনে কর আমি এক মৃত কোনো জোনাকী
সারারাত আলো দিয়ে জ্বললাম।।
এখানেই সব কিছু শেষ নয় বেশ নয় যদি মনে হয়
লিখে নিও গল্পের শেষটা, থাক্ না তবু রেশটা
দেখো না গো চেয়ে তুমি আনমনা চরণে
কোন্ ফুল ভুল করে দললাম।।
Collected
Nur, sarwar1, Towhid Sadik, Mahib, Fatbot, Abdur rahim, Hamid and লেখাটি পছন্দ করেছে
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum